২৮ অক্টোবর  আওয়ামী লীগের সমাবেশ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে, বিএনপির সমাবেশ  নয়া পল্টনে, জামায়াতের সমাবেশ  মতিঝিল শাপলা চত্বরে।


আওয়ামীলীগ ও বিএনপিকে সভা সমাবেশের অনুমতি দেয়-ঢাকা মহানগর পুলিশ,

তবে জামায়াতের বিষয়ে পুলিশের অবস্থান হলো, দলটিকে কোথাও নামতেই দেওয়া হবে না।


জামায়াতকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার যে ঘোষণা এসেছে তাকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে দলের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, “পুলিশের দায়িত্ব হল শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা, বাধা দেওয়া নয়। এই বক্তব্য অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক, এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনি।”

 

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, “গোটা জাতি আজ ‘এক দফার’ দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। এমতাবস্থায় সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আমরা আগামী ২৮ অক্টোবর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছি।

“শান্তিপূর্ণ এই মহাসমাবেশের সুশৃঙ্খলভাবে সমবেত হয়ে এক দফা দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নের আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি।… সরকারের কোনো ধরনের উসকানি, অসাংবিধানিক ও গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমরা দেশবাসী এবং সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”


অন্যদিকে,

সরকারের পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনে থাকা বিএনপি ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করতে চায়। সেজন্য তারাও ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করেছে।

একই দিনে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে পাল্টা শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেদিন রাজধানী দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।


বিএনপির ‘মহাসমাবেশ’: সতর্ক পাহারায় সড়কে সোচ্চার থাকবে আওয়ামী লীগও


বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ২৮ অক্টোবর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার বলেছেন,  নিবন্ধন না থাকায় জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।