যুদ্ধবিরতি নাকচ করলেন নেতানিয়াহু, বললেন ‘এটা যুদ্ধের সময়’ যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়া মানেই ইসরায়েলকে হামাসের কাছে,সন্ত্রাসবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করার ডাক দেওয়া। তিনি হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের অঙ্গীকার করেছেন। তাই “গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না।”
নেতানিয়াহু আরও বলেন, বর্বররা আমাদের সঙ্গে লড়তে ইচ্ছুক। আমরা যুদ্ধের সূচনা করিনি। তবে এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হব। ইরান যে ‘শয়তানের চক্র’ গড়ে তুলছে হামাস তারই অংশ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নিজেদের তৈরি ‘আল-ইয়াসিন’ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি হামলা প্রতিহতের দাবি হামাসের
সম্প্রতিকালে গাজায় স্থল হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহতের পর প্রতিশোধ হিসেবে দেশটি গত ২৪ দিন ধরে গাজায় নির্বিচার বিমানহামলা চালাচ্ছে। পাশাপাশি সীমিত আকারে স্থল হামলাও চালানো হচ্ছে।
নিজেদের বানানো ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র 'আল-ইয়াসিন' ব্যবহার করে ইসরায়েলের স্থল হামলা প্রতিহত করার দাবি করেছেন হামাসের যোদ্ধারা।
আজ ভোরে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।আল-কাসাম স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আল-ইয়াসিন ১০৫ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের এই হামলা প্রতিহত করেছে।
পৃথকভাবে ইসরায়েল দাবি করেছে, আজ তাদের সেনাবাহিনী হামাসের মাটির নিচের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কে হামলা চালিয়েছে।আইডিএফ জানায়, 'সেনাবাহিনীরা হামাসের যোদ্ধাদের হত্যা করেছে এবং বিমানবাহিনীকে তাদের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছে।'
তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমানহামলায় ৪৭টি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে ও ৭টি গির্জা ক্ষতির শিকার হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলায় ৪৭ মসজিদ ধ্বংস ও ৭ গির্জা ক্ষতিগ্রস্ত এসব হামলায় ২০৩ স্কুল ও ৮০টি সরকারি কার্যালয় ধ্বংস হয়েছে।
বড় আকারে বোমা হামলায় ২ লাখ ২০ হাজার বাড়ি ও ৩২ হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে আট হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন, যার মধ্যে তিন হাজার শিশু ও দুই হাজারেরও বেশি নারী। অন্তত ২০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৮ হাজার ৩০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৭ জনই শিশু।জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানান, গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৪ লাখই গৃহহীন হয়েছেন।
0 Comments