বাবা ভাঙ্গা (বুলগেরীয়:) (জানুয়ারি ৩১, ১৯১১ – আগস্ট ১১, ১৯৯৬), (শৈশবে তার নাম ছিল ভ্যানগেলিয়া প্যানদেভা দিমিত্রোভা, বিয়ের পর ভ্যানগেলিয়া গুস্টেরোভা নামে পরিচিত হন)  ছিলেন একজন অন্ধ বুলগেরিয়ার রহস্যময় ও আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন নারী, যিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন বুলগেরিয়ার কুজহু পার্বত্য অঞ্চলের রুপিটি নামক স্থানে। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশ্বাস করেন তিনি কোন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।

শৈশবে ভ্যানগেলিয়া নীল চোখ ও সোনালী চুলের একজন সাধারণ মেয়ে ছিলেন। একদিন এক ঝড় ভাঙ্গাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং একটি মাঠে নিক্ষেপ করে (যদিও এই দাবির স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই)। ব্যাপক অনুসন্ধানের পর তাকে ভয়ার্ত ও চোখে বালি ও কর্দমাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। অনেক চেষ্টার পরও তিনি চোখ খুলতে পারছিলেন না এবং চোখের পুরো অংশ অপারেশনের জন্য টাকা ছিল না ;সুতরাং তিনি অন্ধ হয়ে যান।

১৯৩৯ সালে তিনি ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন, যদিও আগের বছরগুলোতে তার স্বাস্থ্য বেশ ভালো ছিল। সেমময় যদিও ডাক্তাররা বলেছিলেন তিনি খুব শীঘ্রই মৃত্যুবরণ করবেন কিন্তু তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। তার অলৌকিক ক্ষমতা জনপ্রিয় হতে থাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে। সেময় অনেকেই তার কাছে তাদের পরিবারের সদস্যরা বেঁচে আছেন কিনা এমন প্রশ্ন নিয়ে আসতে থাকেন। ১৯৪২ সালের ৮ই এপ্রিল বুলগেরীয় শাসক তৃতীয় বোরিস তার সাথে দেখা করার জন্য আসেন।

বিয়ের পরপরই তারা পেটরিচ গমন করেন এবং সেখানেই ভাঙ্গার খ্যাতি আরো বৃদ্ধি পায়। কিছুদিন পর দিমিতার বাধ্যতামূলকভাবে বুলগেরীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং কিছু সময় উত্তর গ্রীসে (যা সেসময় বুলগেরিয়ার অধীন ছিল) অতিবাহিত করেন।

ভাঙ্গা ১১ই আগস্ট ১৯৯৬ সালে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।  ভাঙ্গার শেষ ইচ্ছা অনুসারে পেটরিচের তার বাড়িটি যাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয় এবং ৫ই মে ২০০৮ সালে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।